কে এম শহীদুল ইসলাম:
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের কাঠইর গ্রামের ৫০ বছরের বসবাসরত সরকারী ভিপি-এ জায়গায় থাকা ৩টি হিন্দু ভূমিহীন পরিবারের বসতবাড়ী উচ্ছেদসহ তাদের গ্রাম ছাড়ার হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক সরকারী জায়গা দখল করে নিয়ে যাচ্ছে পাঞ্চায়েত নামধারী একটি প্রভাবশালী ভূমি খোঁকো চক্র। ঘটনাটি ঘটে চলেছে বহুদিন যাবত ইউনিয়নের কাঠইর গ্রামে। এই ঘটনা নিয়ে বার বার জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিচার প্রার্থী হয়ে এবং লিখিত অভিযোগ দিয়েও রেহাই পাচ্ছেনা গ্রামের ভূমিহীন তিন হিন্দু পরিবারের লোকজনেরা। লিখিত অভিযোগ ও এবং সরেজমিনে খোজঁনিয়ে যানা যায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ১৫৮নং জে.এল স্থিত নারকিলা মৌজার ৪৪৮নং খতিয়ানের এস.এ-৩০৩১, নং দাগে ০.১৫একর ভূমি ’ক’তপশীল ভূক্ত অর্পিত ও অনাগরিক সম্পত্তি। বি.পি-৭৩/৭২-৭৩ইং নং বন্দোবস্ত মোকদ্দমা মূলে ঐ তিনটি হিন্দু পরিবার প্রতিবছর সন সন লীজমানি আদায় পূর্বক বসত বাড়ি ও ঘর নির্মান করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসত করে আসছেন প্রায় ৫০ বছর যাবত। কিন্তু ইদানিং বছর খানেক ধরে বিভিন্ন সময়ে পঞ্চায়েত নামধারী একটি ভূমিখেকোঁ চক্র ঐ তিনটি হিন্দু পরিবারের বসত বাড়ীর বাড়ীঘর ভাংচুর, হামলাও গ্রাম ছাড়ার জন্য এবং প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করে জোর পূর্বক ভাবে সরকারী জায়গা দখল করে নিয়ে যাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে গত ৪ মে ২০২১ইং তারিখে ৫জনের নাম উল্লেখ করে অসহায় ভূক্তভোগী পরিবারের বাসিন্দা কলিন্দ্র দাস একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি কাঠই গ্রামের বাসিন্দা মৃত- জগাই দাসের পুত্র । অভিযোগ সূত্রে যানা যায় অভিযুক্ত ভূমিখেকোঁরা হলেন কাঠইর গ্রামের বাসিন্দা মৃত-অমেন্দ্র তালুকদারের ছেলে চিহ্নিত ভূমিখেকোঁ সুরঞ্জিত তালুকদার ও রুপজিত তালুকদার। মৃত-সুকৃতি রঞ্জন তালুকদারের ছেলে সেতু তালুকদার। মৃত সানজব আলীর ছেলে ভূমিখেকোঁ তেরাব আলী এবং চিহ্নিত ভূমিখেকোঁ কালাম মিয়া। যানা যায় ঐ সমস্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পঞ্চায়েত নামধারী একটি সক্রিয় ভূমিচক্র। গ্রামে প্রভাব কাটিয়ে নিরিহ মানুষজনের উপর বিভিন্ন সময়ে হামলা মারধর করে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে অসহায় মানুষকে গ্রাম ছাড়ার ভয় দেখিয়ে সরকারের অর্পিত সম্পতি জোর পূর্বক দখল করে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদের বিরুদ্ধে কথা বলায় গ্রামের অসহায় তিনটি পরিবারকে বাড়ীঘর উচ্ছেদসহ গ্রাম ছাড়ার হুমকি দিয়ে তাদের ঘরে বিভিন্ন সময় তালাবদ্ধ করে রাখে। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনটি পরিবার সদর উপজেলায় ঘটনাটি জানালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা সাবেক নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অত্যাচারীদের সাবধান করে দিয়ে আসেন। এছাড়াও কয়েক মাস আগে সুনামগঞ্জ সদর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঐ তিনটি হিন্দু পরিবারের ঘর তালাবদ্ধ অবস্থা অত্যাচারী অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের হাত থেকে রক্ষা করে দিয়ে আসেন এবং তাদের সাবধান করে আসেন যাতে আর কোন দিন ঐ তিনটি পরিবারের লোকজন এবং তাদের বাড়ীঘরে হামলা না করে। কে শুনে কার কার কথা কিছু দিন যেতে না যেতেই আবার শুরু হয়েছে অত্যাচারীদের কর্মকান্ড। গত কয়েকদিন ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জোর পূর্বক ভাবে সরকারী জায়গায় পাকা দেয়াল তৈরী করে দখল করে নিয়ে যাচ্ছে ঐ ভূমি কেখোঁরা তিনটি হিন্দু পরিবারের ৫০বছরের দখলকৃত সরকারী জায়গায় । বাধাঁ দিতে গেলে তিনটি হিন্দু পরিবারের লোকজনদের পঞ্চায়েত নাম দিয়ে এক ঘর করে রাখা হয়েছে । এমনকি ছোট ছোট বাচ্চাদেরও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত ভূমিখেকোঁ চক্র। ঐ সমস্ত ভূমিখোঁেকাদের হাত থেকে তিনটি পরিবারের লোকনসহ ৫০ বছরের বসতবাড়ী ও সরকারের জায়গা রক্ষা করে অসহায় তিনটি হিন্দু পরিবারকে বসবাস করার সুযোগ করে দিবেন জেলা প্রশাসক এমনটি দাবী ভূমিহীন পরিবারের লোকজনের তারা প্রধান মন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করেন।