জকিগঞ্জে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং এর আঘাতে আহত যুবলীগ নেতা মালেক



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উঠতি বয়সী তরুণদের কিশোর গ্যাং।আর এর নেপত্যে রয়েছে মূলত মরণ নেশা ইয়াবা ও মদ গাঁজার মতো মাদক দ্রব্য। তাই উঠতি বয়সী কিশোরদের অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মুরুব্বিদের অনেকেই উদ্বিগ্ন ও চরম হতাশাজনক সময় অতিবাহিত করছেন। সরেজমিনে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  চতুর্থ তলার ৭ নং ওয়ার্ডের ৩০ নং বেডে  ভর্তি অবস্থায় আহত জকিগঞ্জ উপজেলার ১নং বারহাল ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামের মৃত আব্দুন্ নুর এর ছেলে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দোবাই স্টেট যুবলীগের সভাপতি মোঃ মালেক আহমদ এর সাথে এ প্রতিবেদককের আলাপ হলে  তিনি জানান যে, গত ১৬/০৫/২০২১ইং রবিবার আমার মা ও ভাইকে নিয়ে ৩ নং কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রামস্থ চারিগ্রাম এলাকায় আমার মামার বাড়িতে অসুস্থ মামাকে দেখতে যাই এবং ঐ দিন সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় আটগ্রাম ষ্টেশনে একটি চায়ের দোকানে আব্দুস সবুর,আলবাব হোসেন, শাহেদ আহমদ ও বদরুল ইসলাম এর সাথে আমার দেখা হয়।যেহেতু তারা আমার মামার বাড়ির লোক সে সুবাদে তারা আমার পূর্ব পরিচিত থাকায় তাদের নিয়ে চা পান করে আমি বিল দিয়ে বিদায় নিয়ে মামার বাড়িতে চলে আসি। অতঃপর  রাত অনুঃ ১০ ঘটিকার সময় আব্দুস সবুর আমার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলে যে,বাড়ি থেকে বের হয়ে আসো একটু গল্প গোজব করি।আমি তার কথায় সরল বিশ্বাসে রাস্তায় এসে আব্দুস সবুর, আলবাব হোসেন, শাহেদ আহমদ ও বদরুল ইসলাম সহ অঞ্জাতনামা ২/৩ জন কিশোর বয়সের লোকদের দেখতে পাই কিন্তু কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই উল্লেখিত লোকজন আমার উপর অতর্কিত উপর্যুপরি  হামলা চালায় এবং শাহেদ আহমদ আমার সাথে থাকা মামার চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা নগদ ৭৫০০০/- টাকা নিয়ে নেয় এবং আলবাব হোসেন আমার ব্যবহৃত স্যামসাং  এ ৫ মোবাইল যাহার ব্যবহৃত সিম নং ০১৭১৬ ০৯০৪৩৬ এবং একটি নোকিয়া নরমাল মোবাইল যাহার ব্যবহৃত সিম নং ০১৭১৫ ৩১০৯২৪ ছিনিয়ে নেয়। তাদের এই আকষ্মিক আঘাতে আমি অঞ্জান হয়ে পড়ি এবং তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে  উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।এই ঘটনায় কোন মামলা হয়েছে কি না তা জানতে চাইলে মালেক আহমদ এ প্রতিবেদককে জানান যে আমি তো এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছি কিন্তু আমার ভাই তুহেল  আহমদ কে দিয়ে জকিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ প্রেরণ করেছি, মামলা হয়েছে কি না  তা জানতে পারিনি। জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা'র মোবাইল ফোনে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককের পরিচয় পেয়ে হ্যালো হ্যালো বলে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখিয়ে  তিনি লাইন কেটে দেন। আহত দোবাই স্টেট যুবলীগ নেতা মালেক আহমদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন যে, "আমার একটাই অনুরোধ এরকম যেন আর কারো উপর অকারণে অতর্কিত হামলা করা না হয় এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা যেন করা হয়।

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন