মুরাদ মিয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
দেশ বিদেশের পর্যটক ভ্রমণ পিপাসুরা সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের দর্শনীয় স্থান গুলো দেখতে এসে সীমান্তনদী জাদুকাটার খেয়া তরী পাড়ি দেয়ার পর ফের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বারেকটিলার ভাঙ্গা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে। ১৯৯০ সাল পরবর্তী প্রায় তিন দশক পুর্বে তৎকালীন সংস্থাপন সচিব ড. শাহ মোহাম্মদ ফরিদের প্রচেষ্টায় জাদুকাটার নদীর বড়গোপ খেয়াঘাটের পশ্চিম উওর ঘেষা জনবিচ্ছিন্ন বারেকটিলার উপর দিয়ে জন চলাচলে জন্য এলজিইডি ১ কি:মি সরু পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়। ভোক্তভোগী ও স্থানীয় লোজনের অভিযোগ গত দুই দশ পেড়িয়ে গেলেও বারেকটিলার উপর থাকা (ল্উারগড়-মহেষখোলা) আকা বাঁকা প্রায় ১ কিলোমিটার সরু সড়কটি সংস্কার, পুন:নির্মাণ কিংবা প্রশস্থ করা হয়নি। উপজেলার জাদুকাটার নদীর লাউরগড় বড়গোপ খেয়াঘাট, বারেকটিলা এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান হতে সুনামগঞ্জ হয়ে তাহিরপুরের জাদুকাটা নদী, বারেকটিলা, জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগান,রাজাই ঝরণাধারা, টেকেরঘাট শহীদ সিরাজ লেক, লাকমা ছড়া, লালঘাট ঝরণা ধারা, টেকেরঘাট স্কুল ঝরণা ধারা, টাঙ্গুয়ার হাওর দেখতে আসা নানা শ্রেণি পেশার লোকজন, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সেতু না থাকায় লাউরগড় বাজারে এসে চার চাকার যানবাহন রেখে জীবন ঝুঁকি নিয়ে জাদুকাটার খেয়াতরী পাড়ি দিচ্ছেন। কেউ কেউ ভাড়ায় চালিত কিংবা ব্যাক্তিগত মোটর সাইলে নিয়ে খেয়াতরী পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করছেন বারেকটিলায়। আবার টিলার নিচে অপেক্ষরত থাকছে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল,অটো রিক্সা. সিএনজি। বুধবার ভ্রমণে আসা চট্রগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতাহারুল বাবরুল বলেন, বারেকটিলার উপর দিয়ে মোটর সাইকেল বা অটো রিক্সা নিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি রয়েছে। কারন টিলার সরু সড়কটিতে কয়েক’শ ভাঙ্গা গর্ত, আবার সড়কটির একাধিক স্থানে সিমেন্টের ঢালাই খসে গিয়ে অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দুটি মোটরসাইকেল বা অটো রিক্সা এ সরু সড়ক ক্রসকালে দূর্ঘটনাকে মেনে নিয়েই মানুষজনকে চলাচল করতে হচ্ছে। উপজেলার রাজাই এলাকার বাসিন্দা বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক এন্ড্রো সলোমার এ প্রতিবেদকে জানান, প্রতিনিয়ত সরু সড়কের উপর মোটরসাইকেল, অটো রিক্সা দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে, এতে কেউ কেউ মারাত্বকভাবে আহত হয়ে পঙ্গুত বরণ করতে হয়েছে। তিনি বলেন জন চলাচলের এ ব্যস্ততম ভাঙ্গা সড়কটি প্রশস্থ করণ ও সংস্কারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ(সওজ), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র নজরই পড়েনি দুই যুগের বেশী সময়কাল ধরে। তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রপের সভাপতি হাজি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন, তাহিরপুরের বড়ছড়া, চারাগাঁও বাগলী এ তিন শুল্ক ষ্টেশনে সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা,ময়মনসিংহ সীমান্ত সড়ক হয়ে হাজারো ব্যবসায়ী,শ্রমিক,সাধারন মানুষজনকে বারেকটিলার উপর সরু সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করতে হয় কিন্তু বছরের পর বছর ধরে সওজ কিংবা এলজিইডির দায়িত্বশীলদের অনুরোধ করার পরও তারা মাত্র ১ কিলোমিটার সড়ক পুন:নির্মাণে কোন উদ্যোগই নিচ্ছেন না।, বুধবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল তসলিম এহসান পিএসসি এ প্রতিবেদককে বলেন,বারেকটিলার পশ্চিমে চাঁনপুর সহ মাটিরাবন অবধি ৭টি বিওপিতে থাকা বিজিবি সদস্যরা এমনকি ব্যাটালিয়ন হতে অফিসারগণ বারেকটিলার উপর থাকা সড়কটি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে হয়, টিলার এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত প্রশস্থ করলে সীমান্ত জনপদে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল পাবেন সর্বমহল।