ছবি প্রতিকী |
নিজস্ব প্রতিবেদক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর নিত্যপণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সপ্তাহে দুইদিন উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে বিদেশি পেঁয়াজ, খেজুর-ছোলাসহ ছয়টি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। অধিকাংশ ডিলার টিসিবির পণ্য প্যাকেজ আকারে বিক্রি করায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন ক্রেতারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রমজানে চিনি, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, খেজুর, ছোলা ও পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। মেসার্স পলাশ টেড্রাস টিসিবির পণ্য প্যাকেজ আকারে বিক্রি করছেন। ডিলার ধনেশ রায় জানান, ৬৭০ টাকা প্যাকেজে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছি। এতে দুই কেজি করে চিনি, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, ছোলা ও পেঁয়াজ রয়েছে। টিসিবি অফিস থেকে এভাবে বিক্রি করতে বলেছে বলে জানান তিনি।
মামুন নামের এক ক্রেতা বলেন, তেল, চিনি ও ডাল প্রয়োজন। বাধ্য হয়ে বিদেশি বড় সাইজের পচা পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে আমাদের। নিজেদের ব্যবসায়িক সুবিধায় ডিলাররা এভাবে ইচ্ছেমতো পণ্য বিক্রি করছেন। আর এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নিম্নআয়ের ক্রেতারা।
জুলেকা নামের আরেক নারী ক্রেতা জানান, আমরা গরীব মানুষ। স্বামী দিনমুজুর। আমার পক্ষে প্যাকেজে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার পণ্য কেনা সম্ভব নয়। আমি তেল ও চিনি কিনতে চাই কিন্তু তারা আমাকে এভাবে পণ্য দিতে চাননি। তাই আমি খালি হাতে ফিরে যাচ্ছি।
টিসিবির পণ্য কিনতে আসা প্রতিটি ক্রেতারই একই অভিযোগ। এ কারণে টিসিবির পণ্য কিনতে ট্রাকের সামনে ভিড় থাকলেও কিনছেন না কেউ।
আরো জানা যায় জগন্নাথপুর উপজেলায় টিসিবির ডিলার রয়েছে, পাঁচ টি, কেউ টিসিবির মালামাল তুলেন নি, সবার লাইসেন্স আছে, মালামাল না তুলে কালো বাজারে বিক্রি করে পেলে। জগন্নাথপুর শুধু ধনেশ রায় টিসিবির পূণ্য বিক্রি করছেন।।ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) যে নিয়ম আছে তাহা তোয়াক্কা না করে নিয়মবহির্ভূত কাজ করছেন ধনেশ রায়,জগন্নাথপুর প্রশাসন ও সে গুলো দেখেও না দেখার বান করে যাচ্ছেন।।।। জগন্নাথপুরের ধনেশ রায় চোরা চালানের গডফাদার হিসেবে খ্যাত।। ইতিপূর্বে সার কেলেঙ্কারির ব্যাবের হাতে ধরা পরে জেল হাজত খেটেছেন।।ধনেশ রায়ের নামে বে নামে সব ধরনের লাইসেন্স রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, প্যাকেজ আকারে টিসিবির পণ্য বিক্রি করার নিয়ম নেই। এ বিষয়ে টিসিবি কৃর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।