ধুপাজান চলতি নদীতে সাড়াশি অভিযানে ২৫টি নৌকা আটক: ১ জনের কারাদণ্ড


কে এম শহীদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জ ধুপাজান চলতি নদীতে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলন কারীদের পাড় কাটার মহোৎসব । বার বার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা করা হলেও  এসব নিষেধাজ্ঞা মানছেনা কিছু অসাধু অবৈধ বালু ও পাথর উত্তেলন কারী চিহ্নিত কিছু অধাধু চক্র। এছাড়াও নদীর পাড়ে থাকা ভুমি মালিকের উপর অবৈধ বালু উত্তলনকারী চক্রের ধারা একটি হামলার ঘটনা ও ঘটে এবং কাসেম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অন্যদিকে  কয়েকদিন যাবত বিভিন্ন শ্রমিদের কাছে ধুপাজান নদী উনমুক্ত করে দিয়েছেন বলে বালু শ্রমিকদের মাঝে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে অবৈধ বালু পাথর ব্যবসায়ী রমজান আলী ও লায়েছ মিয়ার নেতৃত্বে শতাধীক ড্রেজার ও বোমা মেশিন দিয়ে শত শত বলগেট নৌকা নদীতে প্রবেশ করানো হয়েছে। রমজান ও লায়েছের কুঠির জোর কোথায় যে তারা প্রশাসনের নির্দেশনার তোয়াক্কা করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ বালু পাথর উত্তোলনের ব্যবসা,সেটি এখন রিতিমত সাধারন মানুষের মুখে মুখে ফুঠে উঠেছে। অনেকে জানান পুলিশ রমজান ও লায়েছের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করলে ধুপাজান নদীর পাড় কাটা কিছুটা রিতিমত বন্ধ হবে বলেও জানান নদীর পাড়ে থাকা সাধারণ মানুষ তবে তাদের নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রতিবেদককে এসব তথ্যদেন সাধারণ মানুষ।

 ঐ সমস্ত কর্মকান্ড অনুসঁন্ধানে বেড়িয়ে আসার পর কয়েকদিন যাবত  গনমাধ্যমে একাদিক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে  বিভিন্ন পেপার পত্রিকা টেলিভিশন  ও অনলাইন পোর্টালে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ও পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসলে তাৎক্ষনিক ভাবে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমানের নির্দেশে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধে ধুপাজান চলতি নদীতে  যৌথ সাড়াশি অভিযাান পরিচালনা শুরু করা  হয়। এছাড়া ও কয়েদিন ধরেই পুলিশ এসমস্ত অবৈধ বালু পাথর উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন বলে পুলিশ প্রশাসন থেকে জানা যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সংলগ্ন ধোপাজান চলতি নদীতে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২৫ টি বালি ভর্তি নৌকা আটক করা হয় এবং প্রায় ২০হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয় এবং একজন অবৈধ বালু পাথর উত্তোলনকারীকে মোবাইলকোর্ট এর মাধ্যমে ১মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী আইন অমান্যকারীদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানা যায়। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ও জানা যায়। এময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিউর রহিম জাদিদ, বিশ্বম্ভরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সুরঞ্জিৎ তালুকদার এছাড়াও ডলুরা বিওপি কোম্পানী কমান্ডারসহ  আইন শৃঙ্কলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন থেকে জানা যায় নদী ভাঁঙ্গন প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা  গ্রহনে আইন শৃংঙ্কলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং ধুপাজান চলতি  নদীতে প্রতিনিয়ত পুলিশি অভিযান অহŸাহত থাকবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রতি নিয়ত অবৈধ বালু উত্তেলন কারীদের নৌকা আটক করা হচ্ছে এবং মামলাও রুজু হচ্ছে । 

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন