কে এম শহীদুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সুনামগঞ্জ জেলা তাহিরপুর উপজেলা পুটিয়া গ্রামে রিয়াজ উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীর বিশাল বহুল বাড়িতে দিন রাত চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। দেখে ফেলায় এক যুবককে প্রাণে মারাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রাম ছাড়ার হুমকি রিয়াজ উদ্দিনের। এমনটির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিথ্যা মামলা ও রিয়াজ উদ্দিন গংদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ঐ যুবক পুলিশ সুপার ও তাহিরপুর থানায় পৃথক দুটি লিখিত আবেদন ৪এপ্রিল ২০২১ইং তারিখে এমদাদুল হক (২৭) নামে এক যুবক এই আবেদন জমা দেন। সে তাহিরপুর উপজেলা পুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো: আহাদ আলীর ছেলে।
লিখিত আবেদনে জানা যায় দরকাস্থকারী একজন একজন মটর সাইকেল চালক এবং একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পুলিশ সুপারের অবগতির জন্য এবং তার জীবনের নিরাপত্তা জন্য আইনি সহসযোগীতা পেতে পুলিশ সুপারের অবগতির মাধ্যমে তাহিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করার আবেদন জানান। জানা যায় একই গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিনের বসত বাড়ি। দীর্ঘদিন যাবত রিয়াজ উদ্দিন তাহার বসত বাড়িতে রাতে মেয়েদের এনে অসামাজিক কার্যকলাপ চালান। তাহার এমন অসামজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায় এলাকার সাধারণ মানুষ। আর যদি কেউ প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে তাকে গুম করে হত্যা করাসহ মিথ্যাা মামলায় দিয়ে ফাসানোঁর হুমকি প্রদান করে তাহার ভাড়াটিয়া অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের দিয়ে।
এছাড়াও আরোও জানা যায় ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন প্রায় সময় খারাপ মহিলাদের তাহার বাড়িতে এনে রাত্রি যাপনসহ অসামাজিক পরকীয়া সম্পর্কের মাধ্যমে লিপ্ত থাকেন। আবেদনে উল্লেখ্য করাহয় এক মহিলার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুবাদে ঐ মহিলার সাথে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে তুলেন ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন এবং প্রায় রাতেই ঐ মহিলাকে নিয়ে তার বিশাল বহুল বাড়িতে এনে অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থেকে রাত্রি যাপন করেন যা এলাকার অনেকেই জানেন।
গত ৩১/৩/২০২১ইং তারিখ রাতে এক মহিলার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুবাদে রিয়াজ উদ্দিনের ডাকে পরকিয়া সম্পর্কের কারনে তার বসত বাড়িতে রাত ১১টার দিকে প্রবেশ করেন ঐ মহিলা। যা দরকাস্থকারীর নজরে পড়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয় ।
পার্শবর্তী বাড়ির বাসিন্দা হিসেবে রিয়াজ উদ্দিনকে মামা বলে সম্বোধন করে দরকাস্থকারী এমদাদুল হক। ৩১এপ্রিল রাতে মামা মামা বলে রিয়াজ উদ্দিনের বসত ঘরের দরজায় ঘন্টা খানিক দাড়িয়ে থেকে ডাকাডাকির পর যখন জানালার ফাকঁ দিয়ে এমদাদুল হক দেখতে পায় ঘরের ভিতরে ঐ মহিলাকে নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েন রিয়াজ উদ্দিন।
কিছুক্ষণ পর ঐ মহিলাকে তার বেড রুমের বিছানায় রেখে দরজা খুলে দেন তিনি। এসময় এমদাদুল হক তার মোবাইলে রিয়াজ উদ্দিনের সাথে কথা কাটা কাটির বিষয়টি রেকর্ড করেন। রিয়াজ উদ্দিন ও ঐ মহিলা এমদাদুল হককে চুপ থাকার জন্য টাকা দেওয়ার কথা বলেন এবং চলে যাওয়ার কথা বলেন ঐ মহিলার সাথে রিয়াজ উদ্দিনের এক বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান রিয়াজ উদ্দিন নিজে যা মোবাইল ফোনে রেকর্ড ধারনের মাধ্যমে জানা যায়।
তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় ছেলেটিকে হুমকি দিয়ে রিয়াজ উদ্দিন বলেন যদি কাউকে বলবি তোকে আমরা জানে মেরে ফেলব এবং মামলা দিয়ে তোর এমন অবস্থা করব গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাবে । এসময় তাকে মারধর শুরু করে ছেলেটির চিৎকার দিতে থাকিলে ঐ মহিলা ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় যা মোবাইলে রেকর্ড করা আছে । এলাকার কয়েক জনকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন ছেলেটি। ঘটনার পর দিন থেকে ছেলেটিকে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলাসহ প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে রিয়াজ উদ্দিন তার ভাই আক্কাসকে দিয়ে এমটি আবেদনে উল্লেখ্য করা হয় । ছেলেটি লোক মুখে শুনতে পায় রিয়াজ উদ্দিন ও তার পরকিয়া মহিলা মিলে ছেলেটির উপর মিথ্যা মামলা হামলা করতে পারে। এদের ভয়ে বর্তমানে ছেলেটি নিরাপত্তাহীনতায় আতংঙ্কের মধ্যে রয়েছে। মিথ্যা মামলা ও রিয়াজ গংদের হামলার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ছেলেটি পুলিশ সুপার ও তাহিরপুর থানায় লিখিত ভাবে সাধারণ ডায়রির জন্য লিখিত আবেন করেন বলে জানান দরকাস্থকারী এমদাদুল হক।