স্টাফ রিপোর্টারঃ
আমাদের দেশে দুর্নীতির শিকড় কতখানি গভীরে প্রোথিত তা আরেকবার বোঝা গেল সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর-সিলেট সড়কে জগন্নাথপুর অংশে সংস্কার কাজ চলছে। কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়াতে সড়কের একটি অংশের সংস্কার কাজ ধসে গেছে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই স্থানে স্থানে ইটের খোয়া উঠে যাচ্ছে।সড়কের মিরপুর, হাসপাতাল পয়েন্ট বটের তল পর্যন্ত জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের নতুন সংস্কার কাজে কোনো জায়গায় ফাঁটল দেখা যায় আবার কোনো জায়গা ধসে গেছে। কাজটি বাস্তবায়নের জন্য হামিম সালেহ (জেভি) একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ২৫ কোটি টাকার কাজ।যানচালক ও যাত্রীদের ভাষ্য হচ্ছে- অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়ক ভাঙা শুরু হয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই একাধিক স্থানে ফাঁটল ধরেছে। এছাড়া মাটি ভরাট কাজে স্লোপ না থাকায় একটু বৃষ্টির পানিতে তা ধসে রাস্তা ভেঙে যাওয়ার আশাংকায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। জগন্নাথপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হোসেন খান বলেন, দুর্নীতি হচ্ছে কিন্তু তা দেখার কেউ নেই। সড়ক সংস্কারে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পরও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি দুঃখজনক। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করায় সড়ক ভেঙে দুর্ঘটনাও বাড়তে পারে। কিছু মানুষের লোভের কারণে কত মানুষকে যে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। সড়ক সংস্কারের নামে এভাবে জনগণের কোটি কোটি টাকার অপচয় মেনে নেওয়া যায় না। অবশ্য এ ধরনের দুর্নীতি এ দেশে নতুন কিছু নয়, হরহামেশাই হচ্ছে। এসব অনিয়মের মধ্যে রয়েছে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইটের খোয়া, বালু মাটি ব্যবহার করা, ঠিকমতো মাটি ও বালু না ফেলে তাড়াহুড়া করে কাজ শেষ করা। বড় কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদারেরা এসব দুর্নীতি করেন।স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের ইটের খোয়া দেওয়াতে কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না, তাদের দুর্নীতির শেষ নাই। এব্যপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, আমরা দেখেছি কিছু জায়গায় ধসে গেছে। এসব ধসে যাওয়া সব ঠিক করে দেওয়া হবে। আমরা সব সময় তদারকি করে আসছি।