সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলা তাহিরপুর উপজেলা পুটিয়া গ্রামে গত ৩১ মার্চ রাতে রিয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। যা একটি অভিযোগের মাধ্যমে প্রকাশ পায় এবং বিভিন্ন অনলাইন পোর্টলের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হতে দেখা যায়। এর পর থেকেই শুরু হয় এলাকার মানুষজনের মাঝে নানান গুনজন আলোচনা সমালোচনার ঝড়। আসলেই কি হয়েছিল ঐদিন রাতে রিয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে । সেকি সত্যিই অসামাজিক কার্যকলাপে পরকিয়া প্রেমিকার সাথে লিপ্ত ছিল নাকি ছিলনা? তিনজন কারা ছিল কেন ছিল এবং কে সাধু কে সন্যাসি? এমন প্রশ্ন অনেককে ভাবিয়ে তুলেছে। জানতে চান অনেকে আসল রহস্য কি? কয়েকজন গনমাধ্যম কর্মীদের নিবীর অনুসঁন্ধানে বেড়িয়ে আসতে শুরু করে নারী লোভী লাগামহীন পাগলা ঘুড়া রিয়াজ উদ্দিনের অসামাজিক কার্যকলাপ ও ভাগিনা এমদাদুল হকের বানর নাচের রেকর্ড সঙ্গে এক নারী কুকিলের সুর। জানা যায় মামা রিয়াজ উদ্দিনের পরকিয়া প্রেমিকাকে ভোগ করতে চায় ভাগিনা, মানতে রাজি নয় অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকা সেই নারী। এমটির তথ্য বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীদের মোবাইলে অডিও রেকর্ড চলে আসে। বেড়িয়ে আসতে শুরু করে মামা ভাগনা দুটিই নারী পাগল পাগলা ঘুড়া শুরু হয় বানর নাচের খেলা। মামার পরকিয়া মামিকে ভোগ করতে না পেরে ভাগনা এমদাদুল হক ছুটতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। শুরু হয় তথ্য ফাসের কাজ। মামার হাত থেকে ভাগিনা প্রাণে বাচাঁর জন্য আবেদন করে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অন্য দিকে রিয়াজ উদ্দিনের সাথে কে ছিল সেই দিন রাতে সেটি অডিও রেকর্ডে বুঝা না গেলেও এক নারীর আবেদনের মাধ্যমে ফুটে উঠেঁ গ্রামের মানুষজনের মাঝে।
জানা যায় ৩১ শে মার্চ রাত ১১টা৫৫মিনিট পুটিয়া গ্রামে রিয়াজ উদ্দিন ব্যবসায়ীর বিশাল বহুল বাড়িতে শুরু হয় এক নারীকে নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ। দেখে ফেলে ভাগনা এমদাদুল সে ঐ নারীর পিছু নিয়ে মামা রিয়াজ উদ্দিনের বিশাল বহুল বাড়িতে প্রবেশ করে। রিয়াজ উদ্দিনের অসামাজিক কার্যকলাপ ধরতে ঘরে ঢুকে হাতে নাতে ধরে ফেলে ভাগিনা এমদাদুল এবং সেখানে বিষটি ধামা চাপা দিতে মোটা অংকের টাকা দেওয়া নেওয়ার কথা কাটাকাটির রেকর্ড ফাসঁ হতে শুরু করে ঘটনার সত্যতা বেড়িয়ে আসে রেকর্ড কন্ঠে ভাগনা টাকা চায়না পরকিয়া মামিকে দেহভোগ করার প্রস্তাব দেয় ভাগনা । তার এমন প্রস্তাব মানতে রাজিনা মামা ও পরকিয়া মামি। তখনি শুরু হয় দুই লম্পটের টানাটানি মামা ভাগনার ঝগরা দেখে অসামাজিক কার্য কলাপে লিপ্ত থাকা মহিলাটি দৌড়ে পালিয়ে যায়্ যা মোবাইলের অডিও রেকর্ডে ফুটে ওঠে । যা এমদাদুল হকের বটম মোবাইলে ধারন করা হয়েছিল বলে জানা যায়। অনেকে জানান এমদাদুল ও রিয়াজ উদ্দিনের মধ্যে গ্রাম্যলয়ে মামা ভাগনার সম্পর্ক রয়েছে । এমদাদুল যদি গ্রামের আরও ৫/৭জন মানুষকে সাথে নিয়ে রিয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপের দৃশ্য টি দেখাতো তাহলে তাকে হুমকির মুখে পরতে হতনা। কি কারনে সেই দিন রাতে এমদাদুল গ্রামের মানুষকে রাতে সঙ্গে নিল না কি ছিল তার উদ্দেশ্য এমটির প্রশ্ন অনেকের রয়েছে। এছাড়াও আরোও জানা যায় ঘটনার ৪দিন পর এক মহিলা তাহিরপুর থানায় এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের একটি আবেদন নিয়ে যান। এসময় মহিলার সঙ্গে ছিল রিয়াজ উদ্দিনের ভাই আক্কাস আলী। তিনি সারাদিন তাহিরপুর থানায় এমদাদুল হককে ফাসানোঁর চেষ্টা করেন বলে ও জানা যায়। এঘটানার পর রিয়াজ উদ্দিন ও পরকিয়া মহিলার কাছ থেকে কতটুকু নিরাপদ থাকবে এমদাদুল সেটাই ভাবনার বিষয় হয়েছে এবং এমদাদুল রিয়াজ উদ্দিনের অসামাজিক কার্যকলাপের তথ্য ফাসঁ করে কি পেতে চায় সেটাও ভাবনার বিষয়? প্রশাসনের নিরব অনুসন্ধাঁনে বেড়িয়ে আসবে মামা ভাগনার অসামাজিক কার্যকলাপের মুল রহস্য এমটি দাবী করেন সাধারণ মানুষ।
এব্যাপারে এমদাদুল হক জানান রিয়াজ উদ্দিন ও ঐ নারীর অসামাজিক কার্যকলাপ আমি নিজ চোখে দেখে পুরো ঘটনাটি অডিও রেকর্ড করে ফেলায় রিয়াজ ও ঐ নারী আমাকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার কথা বলে। এবং ঐ মহিলার কন্ঠ রেকর্ড করার জন্য আমি মহিলাকে রাগতুলতে তাকে কু প্রস্তাবের কথা বলেছি সঙ্গে সঙ্গে মহিলাটি আমার সাথে কথাকাটা শুরু করে এবং রেকর্ড হতে থাকে তার কন্ঠসর। আমি তাদের কথা না মানায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।আমি যখন এলাকার মানুষকে ডাকতে শুরু করেছি তখন মহিলাটি দৌড়ে রিয়াজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এসময় রিয়াজ উদ্দিন আমাকে তার বাথরুমে আটকে রাখার চেষ্টা করে আমি মহিলাটির পিছু পিছু দৌড়ে এসে আমার প্রাণ বাচাই।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।