তাহিরপুরে রাস্তা না থাকায় হাওরের ফসল উঠাতে চরম বিপাকে কৃষকরা


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের হাওরের পাকা ধান ঘরে উঠাতে রাস্তা না থাকায় চরম বিপাকে কৃষকরা। উপজেলার শনির হাওরে যেন শনির  দশা দেখার কেউ নেই। সারাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসলেও, হাওরের রাজধানী খ্যাত তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়ন হতে উপজেলার বানিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি চরম অবহেলিত। বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের এই সময়েও উপজেলা বানিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারের সাথে উপজেলা সদর ইউনিয়নের,পাশ্ববর্তী বালিজুরী ইউনিয়নের যাতায়াতের জন্য,২,মাত্র ২কিলোমিটার রাস্তা,মাটি কেটে পাকা রাস্তায় উন্নতি করার কেউ নেই। এই রাস্তাটি মাটি কেটে পাকা রাস্তায় উন্নতি করা হলে এ এলাকার জনসাধারণ সহ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শতশত ছাত্রছাত্রীর সড়কপথে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হয়ে যেতো, কমে যেতো অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের ২নং ওয়াডের্র মাহতাবপুর গ্রাম থেকে বাদাঘাট ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রাম পর্যন্ত মাত্র ২কিলোমিটার সংযোগ সড়কটির কিছু অংশে ১৫বছর পূর্বে একবার মাটি দেওয়া হয়েছিল।এরপর থেকে বন্যার পানিতে রাস্তাটির অনেক স্থানে ভাঙাচোরা হয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এই রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় জনসাধারণ। এছাড়াও এ রাস্তাটি নিয়ে একাধিক বার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে,এতে করে অনেকেই নির্বাচন মুহূর্তে রাস্তাটি উন্নয়ন করা হবে বলে,আসার বানী শুনিয়ে গেছেন,কিন্তু এ পর্যন্ত এই রাস্তাটির উন্নয়নে কেউ এগিয়ে আসেননি।

স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব হাসান ইমন জানান বর্তমান জনবান্ধন সরকারের আমলে দেশের রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যাহা প্রসংশার দাবিদার।কিন্তু আমরা এই রাস্তাটির উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে দাবি করে আসছি,সবাই তাদের প্রয়োজন হলেই এই রাস্তাটির উন্নয়নে আশার বানী শুনিয়ে যাচ্ছেন।বাস্তবে কিছুই হচ্ছে না। 

উনি বলেন বর্তমান সংসদ সদস্যও অনেকবার আশা দিয়েছেন, দক্ষিণকূল থেকে মাহতাবপুর গ্রামের মধ্যে ভৌলাই নদীতে ব্রিজ-সহ এই রাস্তাটি উন্নয়ন করে দিবেন,এখনো আমরা সেই আশায় আছি।এ ব্যাপারে উনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সকলের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।

এ বিষয়ে জানতে বালিজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর জহুর এর মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন এর সাথে কথা হলে উনি বলেন, আমার ইউনিয়নের আওতাভুক্ত যতটুকু পড়েছে আমি পাকাকরণ করেছি,কিছু অংশ রয়েছে পাশ্ববর্তী বালিজুরী ইউনিয়নের তারা কাজ শুরু করলে আমার এটাও হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ, সেই ইউনিয়নের আওতাভুক্ত এলাকার কাজত আমি করতে পারিনি, বা আমার দায়িত্বতেও পড়েনি। 

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন