তাহিরপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু


সুনামগঞ্জ থেকে গোবিন্দ দেব 

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আজমিনা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১ এপ্রিল ) ভোরে বসতঘরের অদূরে রাখা লাকড়ি-খড়কুটোর মাছার নিচে পড়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত আজমিনা বেগম উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের জৈতাপুর গ্রামের শাহনুর মিয়ার স্ত্রী। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এএসপি তাহিরপুর সার্কেল বাবুল আখতার, ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার, বাদাঘাট ক্যাম্প ইনচার্জ রাজিবুল হাসান।

সূত্রে জানা গেছে, মৃত গৃহবধূর স্বামী শাহনুর মিয়া সপ্তাহ খানেক ধরে জামালগঞ্জ উপজেলার একটি হাওরে ধান কাটার কাজে ছিল। সেই সুবাদে ওই গৃহবধূ তার ৫ বছরের ১ ছেলে ও ২ বছরের ১মেয়েকে সাথে নিয়ে থাকতেন।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাতে আনুমানিক ২টার দিকে মৃত গৃহবধূর ছেলে-মেয়ের কান্নাকাটি শুনে পাশের ঘর থেকে শ্বশুর ও অন্যরা দৌড়ে ছুটে এসে দেখতে পান ওই গৃহবধূ ঘরে নেই। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাতে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও গৃহবধূর সন্ধান না পেয়ে ঘরে ফিরে আসে। ভোরে পুনরায় গৃহবধূর সন্ধানে বের হলে বসতঘরের অদূরে লাকড়ি-খড়কুটো রাখার মাছার নিচে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান। পরে বাড়ির লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

গৃহবধূর স্বামী শাহনুর মিয়া বলেন, আমি গত ৭-৮ দিন ধরে ধান কাটার কাজে জামালগঞ্জের সাচনাতে ছিলাম। কে বা কারা আমার স্ত্রীকে এমন করে মেরে লাশ বাইরে ফেলে রাখলো তা বুঝতেছিনা।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাথায়, গালে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাজনিত ঘটনা। পুলিশ ওই গৃহবধূর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন